শিরোনাম
২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৪

চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী তুহিন আলীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পপি খাতুন একই উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামের তুহিন আলী স্ত্রী।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, বিকেলে খবর আসে ভাংবাড়িয়া গ্রামের ফেরিঘাট কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহত পপির স্বামী তুহিনকে আটক করা হয়েছে।

নিহতের পিতা নেকবার ভোলার অভিযোগ, ‘সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার জন্য তুহিন আমাদের কাছে টাকা চায়। আমরা টাকা দিতে না পারায় পপিকে মারধর শুরু করে সে। বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় পপি। তাকে খুঁজে না পেয়ে রবিবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিই।’ 
তিনি আরো জানান, ‘সোমবার বিকেলে জানতে পারি পপির মরদেহ নদীর পানিতে ভাসছে। তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে তুহিন। আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।’  

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর