কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে ‘জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে মরহুমের গ্রামের বাড়িতে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। জীবদ্দশায় তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৭ সালে জীবনের প্রথম নির্বাচনে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হন। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে ১৯৭৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের দূর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। জীবনের প্রথম সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পরবর্তীতে এরশাদ মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি চৌদ্দগ্রামের হোমনাবাদ অঞ্চল এবং লাকসাম উপজেলার অবহেলিত পাঁচটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা (থানা) গঠনের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন। এরই প্রেক্ষিতে একনেকে নাঙ্গলকোট উপজেলা অনুমোদিত হয়। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিশাল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি নাঙ্গলকোটে ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
প্রয়াত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া জীবদ্দশায় জনকল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। তিনি খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তায় তিনি নাঙ্গলকোটের মাটি ও মানুষের খেতাব লাভ করেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়। নিজ বাড়ি বদরপুরে বাড়ির পার্শ্বে পুকুর ধারে সবুজ বৃক্ষে ঘেরা শ্যামল মাটিতে তাকে অন্তিম শয়ানে শায়িত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা