বগুড়ার আদমদীঘিতে বসতবাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাঁচ কৃষক পরিবার চান সরকারি সহায়তা। অগ্নিকাণ্ডে ঘর পুড়ে যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের কৃষক আবদুল হালিম, সেকেন্দার আলী, রেজাউল ইসলাম, নূর ইসলাম ও আবদুল হান্নান প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ আবদুল হালিমের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ওই পাঁচ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামবাসীর চেষ্টায় ব্যর্থ হলে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে ওই ৫টি বাড়ির টিন শেড, বাড়িতে রাখা ধান, চাল, সরিষা ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাঁচ কৃষক পরিবার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন পথে বসেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন্দার আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বর্তমানে আমরা অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমাদের পুড়ে যাওয়া ঘর-বাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করে গেছেন। আমরা এখন ইউএনও মহোদয়ের সহযোগিতা আশা করছি।
আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম-উল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যথাসাধ্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে তারা কিছুটা পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারবে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ভাবে সহযোগিতা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর