প্রথমে একটি চক্র কৃষি সেচ পাম্পের বিদ্যুতের মিটার চুরি করে। এরপর মিটারের জায়গায় মুঠোফোন নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে গ্রাহকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এভাবে চুরি করা বৈদ্যুতিক মিটার ফেরত দিতে প্রতি মিটারের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।
বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি ও শেরপুর উপজেলাসহ আশপাশের জেলাতেও অহরহ এমন কাজ করে আসছে চক্রটি। আর এই মিটার চুরির পরই ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার বগুড়ার কাহালু থানার পাঁচগ্রাাম থেকে চক্রটি পশ্চিম পাথারের গভীর নলকূপের মিটার চুরি করে।
এলাকাবাসী জানায়, চক্রটি প্রথমে বিদ্যুতের মিটার চুরি করে। এরপর মিটারের জায়গায় মুঠোফোন নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে গ্রাহকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এভাবে চুরি করা বৈদ্যুতিক মিটার ফেরত দিতে প্রতি মিটারের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। চক্রটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলালসহ বগুড়ার কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি উপজেলায় এমন কাজ করে আসছিল বলে তারা জানিয়েছে। একটি মিটারের জন্য মাসে অন্তত তিন থেকে চার বার চাঁদা দিতে হয়।
চক্রটি বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের মিটার চুরির নামে চাঁদাবাজি করে আসছিল। কিন্তু তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন জানান, মিটার চুরির ঘটনা অনেক আগে ছিল। এখন তো এমনটা হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই