পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমেছে পর্যটকের। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটকদের আগমন ঘটে। তারা উপভোগ করছেন সাগরের সৌন্দর্য। শামুক-ঝিনুকের দোকানসহ বিপণী বিতানগুলোতে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। আগত পর্যটকরা সমুদ্রে সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনদের সাথে আনন্দে মেতেছেন। বুকিং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর কুয়াকাটায় হোটেল ব্যবসায় মন্দা পরিস্থিতি ছিল। এসময় প্রত্যেকটি হোটেলের মালিকদের লোকসান গুনতে হয়েছে। ধার করে কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়েছে বলে একাধিক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী জানান।
স্থানীয় ও পর্যটক ব্যবসায়ীরা জানান, বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের লেবুখালী পয়েন্টে ‘পায়রা সেতু’ চালু হওয়ায় পর্যটক বেড়েছে। কেউ সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউ ঝাউবাগান, শুঁটকি পল্লী, লেম্বুর চর, বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী ও ইলিশ পার্কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই প্রিয়জনদের সাথে সেলফি তুলেছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তবে আগত পর্যটকরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মানতেই চাইছেন না। এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার সতর্কতামূলক মাইকিং করতেও দেখা গেছে।
পর্যটক ফরিদ উদ্দিন বলেন, এর আগেও কয়েবার কুয়াকাটায় এসেছি। তখন সৈকত অনেক বড় ছিল। এখন পরিধি অনেকটা ছোট হয়ে গেছে। তারপরও সৈকতের পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছে। অনেক পর্যটক একসঙ্গে যে যার মতো আনন্দ করছে, এটাও বেশ ভালো লেগেছে।
পর্যটক হুমায়ন আজাদ বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এলাম। সৈকত দাঁড়িয়ে শেষ বিকেলে সূর্যাস্ত দেখলাম। যা আমাদের মুগ্ধ করেছে। সৈকত লাগোয়া আচার ও ঝিনুক ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম জানান, টানা তিন দিনের ছুটির প্রথম দিন ব্যাপক পর্যটকে আগমন ঘটেছে। তাই বিক্রিও বেড়েছে।
আবাসিক হোটেল তাজওয়ার প্যালেস’র ম্যানেজার আকাশ বলেন, তাদের হোটেলে ২৮টি রুম রয়েছে। সবকটিই বুকিং রয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, প্রতিদিনই থানা পুলিশের একটি টিম পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল খালেক বলেন, অনেক পর্যটক আসায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ করছে। এছাড়া সৈকত এলাকায় বারবার সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই