দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা গেছেন। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একটি শিশু আছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির মধ্যে একজন আবদুল মান্নান (৪৮)। তার বাবার নাম ময়েজ উদ্দিন মণ্ডল। বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট বিড়ালদহ গ্রামে। অপর দুইজন মা ও মেয়ে। তারা হচ্ছেন বিথি খাতুন (৩৩) ও তার মেয়ে মরিয়ম জান্নাত (৪)। বিথি খাতুনের স্বামীর নাম আক্তার হোসেন। তাদের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আকতারও মারা যান।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবদুল মান্নান মোটরসাইকেলে নওগাঁ থেকে রাজশাহীর দিকে আসছিলেন। আক্তার হোসেন এক মোটরসাইকেলে তার স্ত্রী বিথি খাতুন ও শিশুসন্তান মরিয়ম জান্নাতকে নিয়ে রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। নওহাটায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু মরিয়ম ও মান্নান মারা যান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিথি মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হন আক্তার হোসেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বড় ভাইয়ের মতো ছোট ভাইও মারা গেলেন সড়কে : তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম। বড় ভাইয়ের মতো ছোট ভাই আলমগীর হোসেনও (২৬) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর মোহনগঞ্জ-খড়খড়ি সড়কের রামচন্দ্রপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। রবিবার সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত আলমগীর হোসেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্র্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
নিহত আলমগীরের স্ত্রী রাহিমা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা। আলমগীর হোসেনের মা ফেরদৌসি আরা বেগম বলেন, তার দুই ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। তিন ছেলের মধ্যে এখন এক ছেলে আছে। দুর্ঘটনায় দুই ছেলে হারিয়ে তার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন