নাটোরে এক ইউপি সদস্যসহ ৩ যুবলীগ কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মূল হামলাকারী ইউসুফ আলীকে। তবে ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-রাশেদুল ইসলাম কোয়েল (৩২) ও মাসুদ রানা (৩৩)। রবিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা পারভীন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
শনিবার দিবাগত রাতে হামলায় গুরুতর আহত লিটন হোসেনের মা রজবী খাতুন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-নাটোর জেলা ট্রাক ট্যাঙ্কলরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোস্তারল ইসলাম আলম, নাটোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন, যুবলীগ কর্মী মারুফ বিহারি, রানা বিহারি, গোলাম কিবরিয়া সেলিম ওরফে সেলিম, সবুজ, মিঠুন আলী, রনি আহমেদ, নাজমুল শেখ বাপ্পি, মোহন ও আছের মোল্লা প্রমুখ।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাতে শহরতলীর একডালা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বর্তমানে গুরুতর আহত লিটন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল ও ইউপি সদস্য আবুল হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই