নোয়াখালীতে পৃথক দুইটি ঘটনায় এক প্রবাসীর মেয়ে ও এক ক্যাবল অপারেটরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতরা হলেন- জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া (১৪)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার মোটুবী গ্রামের সৌদি প্রবাসী জামাল উদ্দিনের মেয়ে। অপরজন মো.আবুল কাসেম সোহাগ (২৬)। তিনি কবিরহাট উপজেলার বড় রামদেবপুর গ্রামের মো.হাফিজ উল্যাহ ওরফে ছুট্টি মিয়ার ছেলে।
আজ শনিবার জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে ক্যাবল অপারেটরের মৃত্যুর ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এসময় মৃতের মা পারভিন ঘটনার সময় ছনগাও তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে। পুলিশ এবং পরিবার আত্মহত্যার কোনও কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। । শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ আরও জানায়, মো.আবুল কাসেম সোহাগ কুমিল্লা ক্যাবল অপারেটরের চাকরি করত। গত ১ জুন সে কবিরহাট উপজেলা বাড়ি বেড়াতে আসে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির বসত ঘরের পাশে থাকা মুরগির ফার্ম থেকে ফ্রিজে বৈদ্যুতিক তার সংযোগ দেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ ও কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা জানান, দুইটি ঘটনায় আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ