ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সাম্প্রতিক বর্ষার কারণে লোহারটেক কোল ও পদ্মা নদীর সংযোগস্থল দিয়ে পানি প্রবেশ করছে বিভিন্ন খালবিলে। এর সাথে পদ্মা নদী হতে আসছে ছোটবড় দেশী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর সে সুযোগে লোহারটেক কোলের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ চায়না দুয়ারী ও আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ নিধনে লিপ্ত হয়েছে মৎস শিকারীরা।
ফলে ধ্বংস হচ্ছে ডিমওয়ালা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সরজমিনে মঙ্গলবার সন্ধার পূর্বে সদর ইউনিয়নের মৌলভীরচর বাজার বড় ব্রীজের দুইশত মিটার উত্তর পশ্চিমে খালের উপর এক আড়াআড়ি বাঁধ দেখা যায়। আড়াআড়ি বাঁধে জসিম ফকির নামের এক ব্যক্তিকে মাছ শিকার করতেও দেখা যায়। তার কাছে বাঁধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বাঁধ তার না। তিনি এমনি শখ করে দেখতে এসছেন।
তিনি বলেন, ওই ইউনিয়নের দবিরউদ্দিন প্রামানিকের ডাঙ্গীর বাসিন্দা ছাত্তার মোল্লা (৬৫) ও মজিদ খার ডাঙ্গী গ্রামের নুরুল ইসলাম মন্ডল (৪০)নামের দুই ব্যাক্তি বাঁধ দিয়েছেন। এ বিষয়ে নূরুল ইসরামের সাথে কথা হলে তিনি বাঁধের মালিকানা অস্বীকার করে বলেন, মাঝে মাঝে তিনি শখ করে মাছ ধরা দেখতে যেতেন, এখন আর যান না। বাঁধের মালিক জসিম ফকির। এছাড়া উক্ত খালের বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়ি ভাবে চায়না দুয়ারী পতা দেখা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্ষার শুরুতে মৎস সম্পদ রক্ষায় কোলে অভিযান পরিচালনা করার পাশাপাশি সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরও মাছের বংশ ধ্বংশ করতে নদীতে বাঁধ দিবে আর চায়না দুয়ারী ব্যবহার করবে তা মেনে নেওয় যায় না। অতি দ্রুত এ বিষয়ে ববস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ