চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা- ডাকাতিয়া নদীর পানি বর্ষার বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শহর রক্ষা বাঁধটি একপ্রকার হুমকির মুখে রয়েছে। চাঁদপুরে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির চাপে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা পাউবোর।
সোমবার বিকেলে লঞ্চঘাট এলাকায় দেখা যায়, পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া মিলনস্থলে নদীর পাশ দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে তীব্র স্রোত বইছে। সেই স্রোত উৎরিয়ে লঞ্চ ও নৌযানগুলো মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তীব্র স্রোতে শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার মন্দিরের সামনের কিছু অংশে ব্লক দেবে গেছে। ইতোপূর্বে সেখানে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে ফাটল দেখা দেয়ায় সেখানে আরো বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল বলেন, পুরানবাজারে ব্লক দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি চিহ্নিত করে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজও চলছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের কাছে ১০ হাজার বালিভর্তি জিও ব্যাগ, ৪হাজার পিচ খালি জিও ব্যাগ, ১৩ হাজার সিসি ব্লক মওজুত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা শহর রক্ষা বাঁধের নতুনবাজার ও পুরানবাজার এলাকার ভাঙন রক্ষা কল্পে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। অধিক বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির চাপে মেঘনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় জোয়ারে পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ ৩.৮৮ সেন্টিমিটার এবং এখন পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার .১২ সেন্টিমিটার নীচে অবস্থান করছে। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মেঘনা নদী প্রশস্ত হওয়ায় দ্রুত পানি নেমে যায়। সে হিসেবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা খুব কম। গত এপ্রিল-মে মাসে মোলহেডে ১৩হাজার ব্লক ও হরিসভা এলাকায় ১০হাজার বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। যার ফলে মেঘনার প্রবল স্রোতের প্রভাবে বাঁধের কোথাও বড় ধরনের তেমন ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়নি।
চাঁদপুর বন্দরের উপ-পরিচালক এ.কে.এম. কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর- বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ চালকদেরকে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করে লঞ্চ চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি। নিবিড় পর্যবেক্ষনে থেকে আমরা স্রোত ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর ও যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করে থাকি।
বিডি প্রতিদিন/এএ