গত দুদিনে কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও আবারও পানি বাড়ছে ওই এলাকায়। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বেড়ে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর পানিও বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমছেই না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, বুধবার পর্যন্ত কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখলিতে বিপৎসীামার ২২ সেন্টিমিটার উপরে ছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার হিসেবে বেড়ে ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খালিয়াজুরী উপজেলার পয়েন্টে ধনু নদীতে ১ সেন্টিমিটার থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমলেও এখনও তলিয়ে রয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি। অনেককে তাই নৌকা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. হযরত আলী জানান, তার এলাকার পুরো গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত। নিজে চেয়ারম্যানসহ ঘুরে ঘুরে দেখে একেবারেই না দিলেই নয় এমন ৬০ টি বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার ৮৪ টি ইউনিয়নের ৭৭ টিই প্লাবিত হওয়ায় পানিবান্দি প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। ৭৮ টি মেডিকেল টিম রয়েছে মাঠে। ২৭২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে পুরুষ ৫,৭৯৫ জন। নারী ৫,১০১ জন, শিশু ১৫৪৭ জন ও প্রতিবন্দী ১৪১ জন। গবাদি পশুর মধ্যে গরু ২৪৪২ টি ছাগল ২৬৪০ টি। অন্যান্য গৃহপালিত ২৩৬১ টি প্রাণী রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল