পটুয়াখালীর গলাচিপায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আক্তার মীম হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের সুহরী গ্রাম থেকে মো. কালাম ও তার স্ত্রী রানী বেগমকে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মীমের মা রেখা বেগম কণা বাদী হয়ে মো. কালাম ও তার স্ত্রী রানী বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, প্রতিবেশী মো. কালাম ও মীমের পরিবারের মধ্যে সু-সম্পর্ক থাকার সুবাদে একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করে আসছে। গত ২৬ জুন রাতে মীমের মা রেখা বেগম কণা বাড়িতে ছিলেন না। রাত ৯টার দিকে মো. কালামের স্ত্রী রানী বেগম মীমের অসুস্থ বাবা হুমায়ুন সিকদারে বাড়ীতে গিয়ে মীমকে (রানী) তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, মীমের বাবা হুমায়ুন সিকদার অসুস্থ। রানী বেগম মীমের বাড়ীতে প্রায়ই আসা যাওয়া করত। কোন অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য মীমকে প্রায়ই তাদের বাড়িতে নিয়ে আসত। ঘটনার দিন রাতে রানী বেগম মীমকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। ওসি জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে রানী কোন অসৎ কাজ বা উদ্যেশ্যের জন্য মীমকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মীমের সাথে এমন কিছু ঘটেছে যা থেকে রক্ষা পেতে মীমকে হত্যার পর লাশ গুম করতে চেয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ পাওয়া যাবে।
গত ২৬ জুন রাতে মীমের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান প্রতিবেশী রানী বেগম। ২৯ জুন সকালে নিখোঁজ মীমের লাশ অর্ধগলিত অবস্থায় পাশের বাড়ির একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মীম স্থানীয় সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম