নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় শোকসভার মঞ্চের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মরহুম কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে ওই শোকসভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন শোকসভার মঞ্চে বসেন। এরপর ৭টা ১৮ মিনিটের দিকে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হানিফ মঞ্চে বসতে গেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মো. সেলিম বাধা দেন। তখন দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
জানা যায়, গত রমজান মাসে হানিফ বিএসসি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। ওই বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় হানিফ বিএসসি শোকসভার মঞ্চে বসতে গেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মো. সেলিমের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হানিফ বিএসসি বলেন, আমি শোকসভার হলরুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে ডেকে নিয়ে তার পাশের চেয়ারে বসান। ওই সময় সেলিম নামে এক ব্যক্তি হইচই করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাকে জানান, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট না করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়েছে। জটিল কিছু হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, শোকসভার মঞ্চে বসা নিয়ে মানোমালিন্য হয়। সভা শেষে ফেরার পথে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি করার চেষ্টা করেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ