যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক পাড়া ও খুলনার দিঘলিয়া বারাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি রায়হান ও এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি ইছামীরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
ওদিকে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা আলাদা অভিযান চালিয়ে ধনি হত্যায় জড়িত আরেক সন্দেহভাজন আল আমিনকে আটক করে। পরে তাকে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ১২ জুলাই বেলা পৌনে ১২টার সময় যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত যুবদল নেতা ধনির সাথে একই এলাকার সাত নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদপ্রাথী শামীম আহমেদ মানুয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছিল। তাছাড়া মানুয়ার জামাই ইয়াসিন গত ফেব্রুয়ারি মাসে খুন হন। এ নিয়েও ধনি ও মানুয়ার মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এর জেরেই মানুয়ার নির্দেশে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। এ মামলার প্রধান আসামি রায়হান শামীম আহমেদ মানুয়ার ভাগ্নে।
পুলিশ জানায়, নিহত ধনির বিরুদ্ধে ২টি হত্যামামলা, একটি অস্ত্রমামলা, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরক আইনে আরও দুইটি মামলাসহ মোট ১২টি মামলা ছিল। আর গ্রেফতার রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ