রাজশাহীর বাগমারায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চও গুঁড়িয়ে দিয়ে সবাইকে সভাস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানের আয়োজক বিএনপি নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেনসহ দলটির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতারা জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাগমারা উপজেলা, তাহেরপুর পৌরসভা ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমতি চেয়ে গত ৫ জুলাই বাগমারা থানায় একটি আবেদন করেন। তৎকালীন ওসি মোস্তাক আহম্মেদ অনুষ্ঠান করার জন্য অধ্যাপক কামাল হোসেনকে অনুমতি প্রদান করেন। সেই মোতাবেক অধ্যাপক কামাল হোসেন অনুষ্ঠানের সব আয়োজন শেষ করেন। গত ৭ জুলাই ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জয়পুরহাট বদলি হলে নতুন ওসি হিসেবে বাগমারায় যোগদান করেন রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রম শেষ। হঠাৎ বুধবার সন্ধ্যায় বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে অনুষ্ঠানটি বন্ধ রাখার জন্য আয়োজক অধ্যাপক কামাল হোসেনকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন।
আয়োজক অধ্যাপক কামাল হোসেন বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাগমারা থানার পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ওসি রবিউল ইসলাম। তিনি পুলিশ দিয়ে বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার কাজ করেন। এসময় আয়োজক অধ্যাপক কামাল হোসেন অনুষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ আধাঘণ্টা সময় দিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।
অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি অনুমতির জন্য ৫ জুলাই বাগমারা থানায় লিখিত আবেদন করেছি। তৎকালীন ওসি মোস্তাক আহম্মেদ আমাকে মৌখিকভাবে অনুমতিও প্রদান করেছেন। অথচ নতুন ওসি এসেই এমন কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।’
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, অনুমতি ছাড়াই অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছিল। অনুমতি না থাকার জন্য তিনি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা