বগুড়ায় স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে পলাতক স্বামী উজ্জ্বল প্রামানিকের (৪০) মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামিকে বেকসুর খালাসও প্রদান করেছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জ্বল প্রামানিক বগুড়া জেলা সদরের কৈচর দক্ষিণ পাড়া এলাকার গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র। উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রাং, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালুর আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু এবং তার স্ত্রী লাভলী বেগম।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মুখার্জী জানান, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সাথে জেলা শহরের সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে উজ্জ্বলকে। এরপর বিদেশে যাওয়ার নাম করে উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে গৃহবধূ আলোকে তালাক দেওয়ার কথা জানায় স্বামী উজ্জ্বল। ঘটনার পর ২০০৬ সালের ১ আগস্ট বিকাল ৪টায় আলো বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত আলো বেগমের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম ১৮ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রবিবার দুপুরে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত আলো বেগমের স্বজনেরা জানান, আলো বেগমের বাবা-মা মারা গেলেও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় তারা মামলা পরিচালনা করে আসছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন