বগুড়ার আদমদীঘিতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় শামীমা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই রাতে নিহত নারীর স্বামী আজাদুর রহমান ঘরে থাকলেও তার খোঁজ মিলছে না।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টিনের দুইটি ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকার বশিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আজাদুর রহমান জমি কিনে ২টি টিনের ঘর নির্মাণ করে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তাদের ছেলে মেয়ে বিয়ে করে তাদের শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। বশিপুর গ্রামের ওই বাড়িতে শুধু তারা স্বামী-স্ত্রী বসবাস করতেন। হঠাৎ ভোর রাত ৩টার পর আজাদুরের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানিয়রা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঘুমান্ত অবস্থায় থাকা গৃহবধূ শামীমা বেগম পুড়ে নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সান্তাহার ফাঁড়ি ও আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পোড়া শামীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু তার স্বামী আজাদুরের মরদেহ পাওয়া যায়নি এবং তার কোন সন্ধানও পাচ্ছে না পুলিশ।
আজাদুরের ছেলে রাকিব হোসেন জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে তার মা শামীমার সঙ্গে কথা হয়। সে সময় তার বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আজাদুরের ছেলের ভাষ্য অনুযায়ী তার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার মরদেহ সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন