দীর্ঘ এক যুগ পর নতুন নেতৃত্ব পেল বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপি। শনিবার বিকেলে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে চারটি পদেই বাবলু-মিন্টু প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে শহিদুল ইসলাম বাবলু প্রতীক (আনারস) ৩৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ আলম পান্ন প্রতীক দেয়ালঘরি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৩ ভোট। আর সাধারণ সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম মিন্টু প্রতীক (ফুটবল) ৪৪৮ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম আরফান প্রতীক (মোটরসাইকেল) নিয়ে পেয়েছেন ১৬০ ভোট।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক দুইটি পদে ৩৮৮ ভোট পেয়ে আব্দুল মোমিন ও শফিকুল ইসলাম ৩৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসানুল মারুফ শিমুল পান ২১১ ভোট ও আরিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ২০২ ভোট।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। এর আগে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির নেতারা।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ও মোশরাফ হোসেন এমপি। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির নেতা আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, মিসেস লাভলী রহমান, এমআর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম তৌহিদুল আলম মামুন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, কেএম খায়রুল বাশার, তাহাউদ্দিন নাহিন, সহিদ-উন-নবী সালাম ও মনিরুজ্জামান মনি।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে নেতৃত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথক প্যানেল তৈরী করেন তারা। বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ এমপি সমর্থিত বাবলু-মিন্টু প্যানেল ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (বর্তমানে বহিস্কৃত নেতা) পৌর মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা সমর্থিত পান্না-আরফান প্যানেলে বিভক্ত হয়ে দুই পক্ষ কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল