৮ আগস্ট, ২০২২ ১১:২০

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের 
বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন একজন কলেজ ছাত্রী। একমাস পর বিয়ের আশ্বাস প্রেমিকের। মেনে নিচ্ছেন না প্রেমিকা।
জানা গেছে, উপজেলার চন্দনবাইশা ইউপির রৌহাদহ গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী সিমা আক্তার (১৯) একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন।

সিমা আক্তার বলেন, আনোয়ার হোসেনের সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। আমার বাবা মা গত ২ মাস আগে পাশের গ্রামের একজন ছেলের সাথে আমার অমতে বিবাহ রেজিস্ট্রি করে। পরে আমি আনোয়ারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বাড়ি হতে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাই। অচেনা একটি বাড়িতে ৪ দিন থাকার পর আনোয়ারের সাথে আমার দেখা হয়। এরপর তার সাথে সেখানে ১৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে আমার মা বাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর গ্রাম্য শালিশে আনোয়ারের সাথে আমার বিবাহের চুক্তি হয়। চলতি মাসের ৪ তারিখে আমার বিবাহের কথা ছিল। আনোয়ার হোসেনের পরিবার হতে বিবাহের উদ্যোগ না নেয়াতে গত শনিবার সন্ধ্যায় আমি তার বাড়িতে এসে উঠেছি। এ কলংকিত জীবন নিয়ে আমি মরলে আনোয়ারের বাড়িতেই মরতে চাই।

সিমার পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ের রেজিস্ট্রি করেছিলাম। সেখান হতে আনোয়ার আমার মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছিল। পুলিশের সহযোগীতায় ১৯ দিন পর মেয়েকে উদ্ধার করে ফিরে এনেছি। ৪ তারিখে বিয়ের কথা থাকলেও আনোয়ারের পরিবার তা মানছে না। আমার মেয়ের কিছু হলে আমি কাউকেই ছাড়ব না।
আনোয়ারের পিতা আবুল হোসেন বলেন, সিমাকে আমরা মেনে নিয়েছি। তবে আনোয়ার ঢাকায় চাকুরী করায় সামনের মাসের ৭ তারিখে সে ফিরে আসলে বিবাহের ব্যবস্থা করা হবে।
আনোয়ার হোসেন জানান, আমি ঢাকায় গার্মেন্টস এর চাকুরী করি। ছুটি না পাওয়ায় বাড়িতে যেতে পারছি না। সামনের মাসে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে গিয়ে সিমাকে বিবাহ করব।

সারিয়াকান্দি চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুরুল হুদা জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই এবং এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর