চাঁদপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও সহায়তার অপরাধে ৮ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় মডেল থানার এসআই শাহাজান অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাব্বানী ও সজিব নামে দু’জনকে আটক করেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে নিহত হাসান ছৈয়ালের বাবা শরীফ ছৈয়াল ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, নিহত হাসান ছৈয়াল রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা-নির্বাহ করেন। মঙ্গলবার ভোরে আসামিরা নিহত হাসানের বাসার সামনে এসে জানায়, হাসান ভোরে পাশের ভাড়াটিয়া স্বপনের ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল ফোন চুরি করেছে। এ সময় হাসান তার নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিল। পরে আসামিরা ঘুমন্ত হাসানকে ঘর থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করে এবং মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে অপমান করে।
পরে উল্লিখিত ও অজ্ঞাত আসামিরা হাসানকে মারধর করে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। হাসান চুরি করে নাই বলে তাদের জানালেও পুনরায় তাকে মারধর করে এবং তার রশির বাঁধন খুলে ঘরের মধ্যে রেখে বাহিরে দরজা আটকে দেয়। পরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ সইতে না পেরে হাসান ছৈয়াল সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহজাহান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত হাসানের পিতা শরীফ ছৈয়াল জানান, আমার ছেলে চুরি না করার সত্ত্বেও তারা আমার ছেলেকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপদস্থ করেছে। আমি একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর