কুমিল্লার বরুড়ায় এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরেক ইউনিয়নে গিয়ে একটি মার্কেট দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের ভাউকসার বাজারে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল আলম পাশের গালিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান।
সূত্র মতে, গত ২২ আগস্ট দখল হওয়া ওই মার্কেটের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় দু’টি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। মার্কেটের মালিক আবুল কাশেম ভাউকসার গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। কাশেমের সঙ্গে প্রতিপক্ষ ভাউকসার বাজার এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের ও তার ভাই আবদুর রশিদের ওই মার্কেটের মালিকানা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এদিকে এ ঘটনায় গত ২৪ আগস্ট চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউলকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আবুল কাশেম। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আবু তাহের, আবদুর রশিদ, রশিদের ছেলে সোহাগ, ভাউকসার গ্রামের বাবর মিয়া, বকুল খান ও হিরন মিয়া।
আবুল কাশেম বলেন, ভাউকসার পশ্চিম বাজারের পয়ালগাছা সড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ৯ শতক জায়গার উপর নির্মিত ওই মার্কেটের মালিকানা নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে মামলা চলছে প্রতিপক্ষের সঙ্গে। গত ২২ আগস্ট সকালে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে মার্কেটটি দখল করেছেন গালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল। রবিউল মোটা অংকের টাকায় ভাড়াটে হিসেবে এই কাজ করেছেন।
বাজার পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ জাফর আহমেদ বলেন, রবিউলের নেতৃত্বে দেড় থেকে দুই’শ জন দখলের সময় বাজারে আসে অস্ত্র হাতে। তারা প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
অভিযুক্ত আবু তাহের বলেন, গত ২২ আগস্ট আমরা মার্কেটের মালিকানা বুঝে নিয়েছি। চেয়ারম্যান রবিউল ঘটনার সময় বাজারে উপস্থিত ছিলেন। আমরা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করিনি।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, মার্কেটের প্রকৃত মালিককে তাঁর সম্পত্তি উদ্ধার করে দিয়েছি, আমি কোনো মার্কেট দখল করিনি।
বরুড়া থানার এসআই নাসির উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি গত বৃহস্পতিবার থেকে মামলাটির তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হলে আদালতে সঠিক প্রতিবেদন জমা দেবো।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা