রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ওসিসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা। এরপর বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা ডাকবাংলো এলাকার দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে গঙ্গাচড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কারো মাথা ফেটে গেছে, কারও হাত-পা কেটে গেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ