ফ্রান্সে তীব্র রাজনৈতিক সংকট চলছে। তার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রথম আমলের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপ তাকে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে পরাজয় আর ম্যাক্রোর দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংকট আরও গভীর হয়েছে।
সংকট এতোটাই গুরুতর যে গত এক বছরের মধ্যে ফ্রান্সে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু মাত্র ২৬ দিনের মাথায় সোমবার পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। জোটের দলগুলোর দলীয় লোভের কারণে সরকার গঠন ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে দেখান। দেশের ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণ (যা জিডিপি'র ৫.৪% হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে) কমানোর জন্য বার্ষিক বাজেট পাস করাতে ম্যাক্রোঁ বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।
প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বাড়ছে তাঁর নিজের দলের ভেতর থেকেও। ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদের প্রকাশ্য মন্তব্যই সংকটের গভীরতা তুলে ধরছে।এদুয়ার ফিলিপ ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ম্যাক্রোঁর প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি সেন্টারিস্ট হোরাইজনস পার্টির নেতৃত্ব দেন। তিনি ম্যাক্রোঁর অবিলম্বে পদত্যাগের বিপক্ষে থাকলেও তার মতে প্রেসিডেন্টের উচিত একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে বাজেট পাস করানো এবং এরপর আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডাক দেয়া। ফিলিপের মতে, এই রাজনৈতিক সংকট রাষ্ট্রের পতন ঘটাচ্ছে... রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব ও ধারাবাহিকতা আর সম্মান পাচ্ছে না।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, লেকর্নুর স্থিতিশীলতার জন্য সর্বশেষ প্রচেষ্টা বুধবারের মধ্যে ব্যর্থ হলে ম্যাক্রোঁ দায়িত্ব নেবেন। তবে এর অর্থ কী, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। লেকর্নু গতকাল মঙ্গলবার মধ্যপন্থী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন।
এদিকে, সাম্প্রতিক জরিপ বলছে যে, ৫৩ শতাংশ ফরাসি নাগরিক মনে করেন ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ করা উচিত।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল