বাংলাদেশে লাখে ২৯০ জন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের কম।
মঙ্গলবার নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্কাউটস ও গার্লস গাইডের ৫০ জন সদস্য অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা বায়েজীদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম। সহকারী জেলা তথ্য কর্মকর্তা কবির উদ্দিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আতাউর রহমান শেখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ এ মু’মেন ও ডালিয়া ইয়াসমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীলফামারীর মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান।
কর্মশালায় জানানো হয়, নীলফামারী জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৭টি শিশুকে টাইফয়েড জ্বরের টিকাদান ক্যাম্পেইনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০৫ জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত রয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩২ জন।
মেডিকেল অফিসার আতাউর রহমান শেখ জানান, ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ১ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে এবং স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা নিতে হলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই