আবারও ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মার্কিন শুল্কনীতি কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সফরে ট্রাম্পকে কার্নি শুল্কহার কমাতে রাজি করাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিলে ক্ষমতায় আসার পর এটা কার্নির দ্বিতীয় সফর। ৬০ বছর বয়সী সাবেক এই ব্যাংকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চান।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট সোমবার এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি নিশ্চিত মঙ্গলবারের আলোচনায় বাণিজ্যের বিষয়টি আসবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অন্যান্য মার্কিন মিত্রদের বিপরীতে কানাডা এখনও তার প্রতিবেশী দেশটির প্রতি একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তির জন্য তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র কানাডার প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার। দেশটিতে অটোয়ার ৭৫ শতাংশ পণ্য রফতানি হয়। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কানাডার জিডিপি ১.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে কাঠ, অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত এবং অটোমোবাইলের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভারী ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
আপাতত বেশিরভাগ বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোর মধ্যে একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত আছে। কিন্তু চুক্তিটি শিগগির পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সূত্র: বিবিসি, গ্লোবাল নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ