২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:১৫

রাজবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

রাজবাড়ীতে গত ২০ নভেম্বর জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ৭টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপনের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল মো. হাসান গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় ছাত্রদলের আক্তার হোসেন (২৮) ও শিপন শেখ (১৯) নামের দুই সক্রিয় কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের উপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও পৌরসভার কাউন্সিলরসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলায় ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। অজ্ঞাত ১৪/১৫ জন আসামি করা হলেও পুলিশ শত শত নেতাকর্মীর বাড়ীতে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিস্ফোরক ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে বেশ কয়েকজন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাড়িছাড়া রয়েছেন। 

বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি শুরু হয়েছে। মূলত ককটেল  ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা পুলিশের সাজানো নাটক। এই মামলার মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ও সহযোগী  সংগঠনের নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেক নিরীহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেছেন। অনেক নেতাকর্মী বাড়ীতে থাকতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যের এক স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী গ্রেফতারের ভয়ে আত্মীয় বাড়িতে রয়েছেন। রাতে আমাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন এসেছেন? তারা উত্তরে বললো, আপনার স্বামী বিস্ফোরক মামলার আসামি। আমি খোঁজ নিয়েছি, সে এজাহারভুক্ত কোন আসামি নয়। পুলিশ বলছে, অজ্ঞাতনামা আসামি।

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারছেন না। পুলিশ একটি প্যানিক সৃষ্টি করেছে। সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছেন। এটা আসলে ঠিক নয়।
বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি চালানো বিষয়ে কথা বলতে চায়নি রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মাহবুবুল আলম।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশীর বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকর্তা করলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের উপর হামালা  ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি থেকে পালালেও তাদের গ্রেফতার করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর