২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:২৩

ভাঙ্গায় বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

ভাঙ্গায় বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত ৩০

ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিরোধ মীমাংসা বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্ক বিতর্ক হয়। উত্তেজনার একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষ ১০ গ্রামের লোকজন জড়িয়ে পড়ে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ আড়াইটা পর্যন্ত চলে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি,ইট,পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে এক পক্ষে মুনসুরাবাদ, মাঝিকান্দা, হামিরদী গ্রামের লোকজন, অপরপক্ষে বড় মুচকুরনি, ছোটমুচকুরনি, চোধুরীকান্দা, বাগবাজার, সেনকান্দা, ভীমেরকান্দাসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গত সোমবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন মারা যায়। এ সময় মুনসুরাবাদ এলাকার উত্তেজিত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারনের অভিযোগে বড় মুচকুরনি গ্রামের তাইজুলকে (২৭) মারধর করে মুনসুরাবাদ এলাকার লোকজন। এরপর ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ এলাকার কয়েক গ্রামের সাথে মহেশ্বরদী এলাকার কয়েক গ্রামের উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার ঐ বিরোধ মিমাংসার জন্য দুই পক্ষ ইউপি ভবনে বৈঠকে বসে।

হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খোকন মিয়া বলেন, আজ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সালিশের সভাপতি ছিলেন হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আইনজীবী জহুরুল হক, সালিশ সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন আরেক সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। আমি সালিশে উপস্থিত ছিলাম। এক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় মুনসুরাবাদ এলাকার লোকজন মহেশ্বরদী এলাকার লোকজনের উপর চড়াও হয়। আমার ইউপি ভবন ভাঙচুর করে মুনসুরাবাদ এলাকার লোকজন। এরপর দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।এখনও এ বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর