বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজারের আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় ওই বাজারের ব্যবসায়ী ও পাশের রায়েন্দা ইউনিয়নের জমাদ্দার বংশের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই পক্ষের চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তাফালবাড়ী বাজার কমিটিরি সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর সরদার জানান, তাদের পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের জমাদ্দার বংশের একদল যুবক দীর্ঘদিন ধরে তাফালবাড়ী বাজারের এসে ত্রাস সৃষ্টি করে বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন সময় দোকান থেকে মালামাল বাকি নিয়ে টাকা পরিশোধ করে না। টাকা চাইতে গেলে ব্যবসায়ীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করে। অন্য এলাকা থেকে এসে তারা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করায় সবাই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। শুক্রবারও একইভাবে এক ব্যবসায়ী ও এক শিক্ষককে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তারা পথচারী মাসুম হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে।
সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমাদ্দার বাড়ির ছেলেরা তাফালবাড়ী বাজারের এসে নানা অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। তাদের নেতা শাহাজাহান বাদল জমাদ্দারকে বলার পর তাদের ছেলেরা আরো বেশি করে হামলা চালিয়েছে। এর একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান দরকার।
প্রতিপক্ষের জমাদ্দার বংশের নেতা ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জমাদ্দার বলেন, একচেটিয়া আমাদের ছেলেদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এটা সঠিক না। তারা আমার কাছে বিচারের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমাকে বাজারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, তাফালবাড়ী বাজার বন্ধের খবর তার জানা নেই। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই