নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল হোতাসহ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিযনের সরাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মো সাদ্দাম হোসেন (২৩) ও বড় ভাই মো. শাহ আলম (৩২)।
তাদেরকে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞাপ্ততে র্যাব জানিয়েছে। এর আগে ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে আসে।
র্যাবের সহকারী পরিচালক মো. আনেয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানান, গত দুবছর আগে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় আটপাড়া উপজেলা পুখলগাও গ্রামের কাদির মিয়ার মেয়ে পপি আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলো।এরই ধারাবাহিকতায় ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে না দেয়ার স্বামী সাদ্দাম হোসেন, ভাসুর শাহ আলম ও পরিবারের অন্যান্য সহযোগীরা গত সপ্তাহের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজ বসত ঘরে গলায় বিদ্যুতের তার পেচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে পপি আক্তারকে (২০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ঘটনার পর সকলেই গা ডাকা দিলেও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যেমে মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল হোতাসহ এক সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা। অন্যান্যদের গ্রেফতারে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল