৫ মার্চ, ২০২৩ ০৪:৫৯

বলেশ্বর নদীতে ট্রলারে ডাকাতি: ১০ জেলেকে মারধর করে রসদ-মাছ লুট

বরগুনা প্রতিনিধি

বলেশ্বর নদীতে ট্রলারে ডাকাতি: ১০ জেলেকে মারধর করে রসদ-মাছ লুট

বলেশ্বর নদীতে একটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে

সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ঘাটে যাওয়ার পথে বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে একটি নামবিহীন ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার  রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বলেশ্বর নদীর রুহিতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকালে ভুক্তভোগী জেলেরা এই তথ্য জানায়।

ডাকাতির শিকার ট্রলার মালিকের নাম রবিউল ইসলাম। ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি এলাকায়। আহতরা হলো, আমিনুল ইসলাম মাঝি (৩৫), মহিদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), মুসা গাজী (৩৮), মো. বাচ্চু মিয়া (৩০), মো. তুহিন শেখ (৩০), মো. হাবিব (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৮), মো.ফরহাদ (২২) ও মিজানুর রহমান (৪০)। এদের মধ্যে তুহিন, ফরহাদ,হাবিব ও বাচ্চুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ট্রলারসহ খুলনায় পাঠানো হয়।

ফিরে আসা ট্রলারের জেলে আমিনুল মাঝি জানান, সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করার জন্য ঘাটে ফেরার পথে বলেশ্বর নদীর পাথরঘাটার রুহিতা সংলগ্ন বলেশ্বর নদী এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সার্চলাইট দিয়ে সংকেত দিয়ে থামিয়ে তিনটি ট্রলারে অন্তত ১২ জন লোক তাদের ট্রলার দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় ট্রলারটি সুন্দরবনের দিকে যায় এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। জেলেরা তাদের চাহিদা মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ১০ জন জেলেকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ট্রলারে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১২০ কেজি মাছ, ৩ ব্যারেল তেল, তিনটি মোবাইল ফোন, রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারে থাকা খাবার কাপড়-চোপড় নদীতে ফেলে দিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এ রকম একটি ঘটনা শুনেছি। আমার কাছে ডাকাতি হওয়া ট্রলারের জেলেরা এসেছিল,আমি আইনি সহযোগিতার জন্য থানায় যেতে বলেছি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. শাফায়েত আবরার বলেন, ডাকাতির খবর আমরা পাইনি। তবে আহত জেলেদের মধ্যে দুইজনের সাথে কথা হয়েছে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর