১৪ মার্চ, ২০২৩ ২০:০৬

শিক্ষক থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, ক্লাসে অনিয়মিত হলেও বেতন নেন নিয়মিত

মাদারীপুর প্রতিনিধি

শিক্ষক থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, ক্লাসে অনিয়মিত হলেও বেতন নেন নিয়মিত

মাদারীপুরের চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ফাইকুজ্জামান ফকির বাবুল বর্তমানে নিজ ইউনিয়ন কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে ক্লাস না নিয়ে নিয়মিত বেতনভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে ফাইকুজ্জামান ফকির বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেন না। সরকারি বিনামূল্যে বিতরণের বই কেজি দরে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা। এসব বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। 

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর চরনাচনা ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ফাইকুজ্জামান ফকির বাবুল বর্তমানে নিজ ইউনিয়ন কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং কাউকে তোয়াক্কা না করে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনি মাদ্রাসায় ক্লাস নেন না। অভিযোগে রয়েছে সরকার থেকে দেয়া ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যের বই কেজি দরে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার। এছাড়াও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি তার আপন খালাতো ভাই হওয়ার সুবাদে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কম্পিউটার না জানা ব্যক্তি রিয়াদ হোসেন (শহীদ) নামের এক ব্যক্তিকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও মুখ খুলতে সাহস পান না মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাইকুজ্জামান ফকির বাবুল। তিনি দাবি করেছেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও  চক্রান্ত করে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি নিয়মিত ক্লাস নিয়ে থাকেন। আর বই বিক্রির বিষয়েও তিনি জানেন না বলে জানান। 

এদিকে ফাইকুজ্জামান বাবুলের ক্লাস না নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ফাইকুজ্জামান বাবুল স্যার নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ার বিষয়টি সত্য। তবে এর বাইরে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। তাছাড়া আমি দূর থেকে আসি, কারো বিরুদ্ধে কথা বলে ঝামেলায় জড়াতে চাই না। 

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর