কক্সবাজার সৈকতে ভাসছে বড় আকারের একটি মৃত তিমি। সৈকতের হিমছড়ি থেকে দরিয়ানগর পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকার অন্তত এক কিলোমিটার দূরের সাগরে ভাসছে মৃত তিমিটি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার সৈকতের হিমছড়ি থেকে দরিয়ানগর পয়েন্ট পর্যন্ত সাগরে মৃত তিমিটি ভাসতে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ভাসমান মৃত তিমিটি অন্তত ৫০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের এবং এটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে-তিমিটি অন্তত সপ্তাহখানেক আগে মারা গেছে।
স্থানীয়দের বরাতে মাসুম বিল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাগরে একটি বড় আকারের মৃত তিমি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা। পরে স্থানীয়রা প্রশাসন, বনবিভাগ ও পুলিশের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের পর্যটনের কয়েকজন বিচকর্মী স্পিডবোট যোগে সাগরে তিমিটির ভাসমানস্থলে পৌঁছেন। বিকাল ৩টার দিকে তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরের সাগরের পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। এটি পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তিমিটির শরীরে মাছ ধরার জাল পেঁচানো অবস্থায় দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মোহাম্মদ বেলাল হায়দর বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাগরে মৃত একটি তিমি ভাসার খবর পেয়ে বুরির একটি দল ড্রোনের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে। পরে ছবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মৃত তিমিটি ‘ব্রাইডস’ প্রজাতির। তিমিটির শরীরে মাছ ধরার জাল পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে। তিমিটি পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিমিটি মাছ ধরার বিশাল জালে আটকা পড়ে এবং গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
বেলাল হায়দর জানান, তিমিটি জোয়ার-ভাটার কারণে প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করছে। এটি কূলে ভেসে এলে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিমিটি সাগরের পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। এটি জোয়ার-ভাটায় ভেসে না এলে কূলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই