দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার এই ঈদগাহ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে আয়োজক কমিটি। এ লক্ষে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গোর-এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এদিকে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে বছরের বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ দেখতে আসেন। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ ঈদগাহ মিনারকে নতুনরুপে সাজে সাজানো হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই রঙিন বাতিতে আলোকিত হচ্ছে বিশাল এই ময়দান। দেখতে আসা রফিকুল ইসলাম, আরমানসহ কয়েকজন জানান, এই ঈদগাহ মাঠে দূর-দূরান্তের মানুষের নামাজ আদায়ের জন্যে ঈদের দিন পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর এবং হাকিমপুর থেকে দিনাজপুর রেলরুটে ট্রেন সার্ভিস দেয়ার আবেদন জানান। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০ লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই।
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মসুল্লিরা যেন নামাযে শরীক হতে পারেন এ জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির আলোকে ঈদগাহ জুড়ে নেওয়া হচ্ছে চার স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবারেও ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী। ঈদের দিন ঈদ জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
পুরো ঈদগাহ জুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবে। সকাল ৭টা থেকে মুসুল্লিরা মাঠের প্রবেশ পথ দিয়ে আসবেন। মোট ১৯টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধু মাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করবেন মুসুল্লিরা। থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। মাইক বসানো হবে ১১০টি। এছাড়া ইমাম সাহেবকে সহযোগিতা কারার জন্য বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে ৫শতাধিক মুক্কাবির নিয়োজিত থাকবেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প, ওজু করতে যেন অসুবিধা না হয় এজন্য ২৫০টি ওযুখানা এবং পানি খাবার ব্যবস্থা রাখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম