২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:০৪

পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি, বরসহ চারজন এখনও নিখোঁজ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি, বরসহ চারজন এখনও নিখোঁজ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে কনে নিয়ে ফেরার সময় বিয়ের ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার করা গেলেও বরসহ চারজন স্বজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় বরিশাল ও পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বরিশালের ডুবুরি দল আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

শুক্রবার বিকেলে তেতুলিয়া নদীর চরবোরহান থেকে দশমিনায় বরের বাড়িতে ফেরার সময় আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন পয়েন্টে ঢেউয়ের কবলে পরে ট্রলারটি ডুবে যায়।

পরে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে দশমিনা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নেতৃত্বে পটুয়াখালী ও দশমিনা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। অভিযানে পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ছিলেন।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা জানান, থানা ও নৌ পুলিশ, ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিয়ে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজদের কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। সকালে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। 

দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, চরবোরহান থেকে ট্রলারটিতে ১৫ জনের মত বরযাত্রী কনে বাড়ির অনুষ্ঠান শেষে হ দশমিনায় বরের বাড়িতে আসছিল। পথিমধ্যে নদীর ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পর বাকিরা সাতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও ৫ জন পানিতে তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর লিপি বেগম (৩০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বর রাব্বি হাওলাদার (২০) তার মা সেলিনা বেগম (৪০) খাদিজা (৫) ও মানছুরা (৮)।

নিহত লিপি বেগম (৩০) দশমিনা উপজেলার উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী। নিহত ও নিখোঁজ সকলের বাড়ি দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এরা একে অপরের আত্মীয়-স্বজন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সাথে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে বাড়িতে আনতে কনের বাড়িতে যান। শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে দশমিনার গুলি আউলিয়াপুর বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে নদীর ঢেউয়ের কবলে পড়ে তলিয়ে যায়। এতে রাব্বি হাওলাদারের ফুফু লিপি আক্তার পানিতে ডুবে মারা যান। এ ঘটনায় বর রাব্বি হাওলাদার ও তার মা সেলিনা বেগমসহ ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর