নেত্রকোনায় আকস্মিক ঝড়ে জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কের উপর গাছ উপড়ে পল্লী বিদুতের তার ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও কলমাকান্দা উপজেলার সোনাডুবি ও মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (০৪ সেপ্তেমোড়) ভোরে জেলার দুই উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের উপর দিয়ে আকস্মিক ঝড়ে বয়ে যায়। বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয় প্রায় আধাঘন্টার উপরে। এসময় কয়েক মিনিটের ঝড়ে বেশকিছু গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। অসংখ্য গাছ উপরে পরে। সড়কের উপর গাছ পড়ে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিড়ে দুর্গাপুর কলমাকান্দায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলার মনতলা গ্রাম, আনন্দপুর, সিধলী ও পোগলায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়। দুর্গাপুরেও বিরিশিরি ও গাভিনা গ্রামে বেশ কিছিু বাড়িঘর মসজিদ বিধ্বস্ত হয়। এদিকে অসংখ্য গাছ উপড়ে পরে ক্ষতি বেশি হয়েছে। দুই উপজেলারই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে কলমাকান্দা উপজেলার সোনাডুবি হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে অনিল দাস (৪৫) নামের এক জেলে নিখোঁজ হন। তিনি কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে। একইভাবে মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরে নৌকাডুবে দুলাল তালুকদার (৬০) নামে জেলে নিখোঁজ হন।
মোহনগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার কানাইলাল চক্রবর্তী জানান, ঝড়ের পূর্বে বাড়ি থেকে দুলাল তারুকদার মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরেনি।
কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, অসংখ্য গাছপালা উপড়ে রাস্তায় পড়ে থাকায় বেশকিছু গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় ও তার ছিড়ে যাওয়ায় উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
নিখোঁজ অনিল দাসের বিষয়ে কলমাকান্দা ফায়ারসার্ভিসের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের একটি ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি সন্ধ্যার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মনতলা গ্রামে ৮ টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য এরাকার তথ্য নেয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ