বাগেরহাটের শরণখোলায় ফুলমিয়া হাওলাদার (৬০) নামে এক মৎস্যজীবীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের ফাঁকা বিলের মধ্যে একটি টংঘরে তাকে মৃত অবস্থায় পান তার স্বজনরা।
পরে খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে ফুলমিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার মরদেহটি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম জানান, তার চাচা ফুলমিয়া হাওলাদার সারা বছরই খালে-বিলে বুচনা জাল ও চাঁই পেতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বিলের মধ্যে ছোট টংঘর তুলে রাতে থাকেন সেখানে। খালে ও বিলে প্রতিদিন বিকেলে বুচনা ও চাঁই পেতে রাখেন। সকালে তা তুলে মাছ সংগ্রহ করে বিক্রি করেন।
প্রতিদিন সকাল ৭-৮টার মধেই মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সেই নিয়মে সোমবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বিলের সেই টংঘরে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে তার চাচার ফিরার অপেক্ষায় ছিলেন বাড়ির সবাই। এর মধ্যে সকাল ৯টার দিকে খলিল হাওলাদার নামে তার এক চাচাতো ভাই বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে দেখেন ফুলমিয়া টংঘরে কাঁথা গায়ে শুয়ে আছেন। এসময় ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে কাছে গিয়ে শরীরে হাত দিয়ে দেখেন তিনি মারা গেছেন। ঘটনাটি বাড়িতে বলার পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, যেহেতু ফাঁকা বিলের মধ্যে একা টংঘরে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তাই কিছুটা সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই