লালমনিরহাটে হরতাল চলাকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়। একই দিন সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর রেলগেটে হরতাল চলাকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে তিনি আহত হন।
মৃত জাহাঙ্গীর আলম লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।
এদিকে, লালমনিরহাটের চার উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাতীবান্ধা উপজেলায় ৩ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২ জন, আদিতমারী উপজেলার ৪ জন ও সদর উপজেলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জানাজা আজ দুপুর ২ টায় সম্পন্ন হয়। পরে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকায় বেড়পাংগা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরতালে সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন