২ নভেম্বর, ২০২৩ ২১:২৬

অভিমানে কৃষি কর্মকর্তার আত্মহত্যা, হাসপাতাল থেকে স্বামীর পলায়ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

অভিমানে কৃষি কর্মকর্তার আত্মহত্যা, হাসপাতাল থেকে স্বামীর পলায়ন

স্বামী ইমরান খান সবুজের সঙ্গে সাথী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আফসানা হক সাথী (৩৩) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। 

বুধবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথীর মৃত্যু হয়। 

সাথী আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। সাথী দুই সন্তান নিয়ে পৌর এলাকার মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার নূর মহলে ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

সাথীর বাবা ফজলুল হক জানান, সাথী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সবুজ যৌতুকের টাকার জন্য একাধিক বার সাথীকে মারধর করেছে। সবুজ অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত ছিল। এতকিছু জেনেও সাথী দু’টি সন্তানের কথা ভেবে স্বামীর সংসার করছিল। গত কয়েকদিন আগে আবার তার স্বামী অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এসব নিয়ে সবুজ প্রায়ই সাথীর সঙ্গে ঝগড়া করতো। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে রাতে পোকা দমনের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সাথী। পরে সবুজ সাথীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে ওইখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথীর মৃত্যু হয়। সাথীর মৃত্যুর কথা শুনে সবুজ হাসপাতালে সাথীর লাশ রেখে পালিয়ে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর