নাটোরের লালপুরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মাসুদ রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত মাসুদ রানা লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগসোশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি
বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। বিলমাড়িয়া বাজারে তার প্রসাধনীর দোকান রয়েছে।
পথচারীরা মাসুদ রানাকে পড়ে থাকতে দেখে তার পকেটে থাকা মুঠোফোন থেকে স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মাসুদ রানাকে অপহরণের স্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর মহিলা কলেজের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, মাসুদ রানার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও ডান হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাথাতেও আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাসুদ রানার সঙ্গে সালাহ উদ্দিন নামের এক স্বজন জানান, মাসুদ রানা সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দুর্বৃত্তরা তার হাত–পায়ের রগ কাটলেও কাছে থাকা টাকা-পয়সা নেয়নি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পুলিশের কেউ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এ ব্যাপারে শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বিডি প্রতিদিন/আজাদ