একটিমাত্র উপজেলা ‘বাউফল’ নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ১১৪ পটুয়াখালী-২ আসনটি। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসন।
স্বাধীনতার পর থেকে এ আসন ধরে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আসনটি থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘকাল আবর্তিত হচ্ছে তাকে ঘিরে। পরিচিত রয়েছেন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে। সাংগঠনিক দক্ষতায়, যোগ্যতায় এবং ভক্ত, অনুসারী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন সংসদের হুইপ, চিফ হুইপ ও প্যানেল স্পিকারের। এছাড়া একাধিক সংসদীয় কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র ও সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংগঠনিক শক্তি ও এলাকায় জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আ স ম ফিরোজই নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আ স ম ফিরোজ। ওই বছরই হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। দীর্ঘ ৪৪বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বগুণে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। তিনি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও।
এযাবৎ ৯বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। যার মধ্যে ৭৯, ৮৬, ৯১, ৯৬, ০৮, ১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯৬’তে একবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আর ২০০১ সালের প্রহসনের নির্বাচনে হেরে যান আ স ম ফিরোজ।
বিশিষ্ট এ সংসদ সদস্য নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও দ্বশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মৎস্য সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একাদশ সংসদের সংসদীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতিও তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল সূত্র জানায়, ৪৪বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ স ম ফিরোজ এমপি। তার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী পরিবার অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুসংগঠিত।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ