২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫৫

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে শিশু ও দুই নারীকে হত্যার অভিযোগে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও হেরোইন রাখার দায়ে অপর একটি আদালত এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো: নাজির দুজনকে মৃত্যু দন্ডাদেশ ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবুল বাশার মিয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো-সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল মুন্নাফের ছেলে আল-আমিন ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন দন্ডপ্রাপ্ত আল-আমিন। এসময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিনের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আল-আমিনকে তালাক দেওয়ায়। এতে নাসরিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। পুনরায় নাসরিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আল-আমিন। ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মোবাইল ফোনে নাসরিনকে দেখা করতে বলে আল-আমিন। নাসরিন তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও পাঁচ বছর বয়সী ভাগ্নি জাইমাকে সঙ্গে নিয়ে আল-আমিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে তার দোকানে যায়। এসময় আল-আমিন ও তার সহযোগী রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে তাদের নিয়ে যায় তাদের।  সেখানে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেচিয়ে তিনজনকে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহগুলো বস্তায় ভরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে  পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষীর গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আল-আমিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন এবং একজনকে বেকসুল খালাস প্রদান করেন। 

অপরদিকে, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ নিজ বাড়ি থেকে শহিদুল ইসলামকে র‌্যাব-১২ সদস্যরা হেরোইনসহ আটক করে। এ বিষয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শুনানি ও স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত শহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর