দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে ৭.২ডিগ্রিতে নেমে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হিমেল হাওয়ার সাথে কুয়াশায় কনকনে শীতে জবুথবু দিনাজপুরের মানুষ। তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগ জনজীবনে। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। সকালের কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে দূরপাল্লার যানবাহন। কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। তবে বেলা ১২টার দিকে সূর্যের দেখা মিলায় জনমনে ফিরে কিছুটা স্বস্থি। কিন্তু হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীতের কমতি দেখা যায়নি। বিকালের পর থেকে আবারও কনকনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়।
শুক্রবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস জেলা আবহাওয়া অফিস নিশ্চিত করেন।
জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। হাকিমপুরের মাধবপাড়ার কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, ঠান্ডায় কাজ করা খুবই কষ্ট। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। এতে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
কৃষক গৌতম দাস বলেন, এ বছরের প্রায় মাস খানেক ধরে শীত প্রকট হওয়ায় বীজতলাসহ আলুর ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক এনে স্প্রে করেও ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আলুর গাছ আর বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ