দিনাজপুরে শীতের বিদায়লগ্নে বসন্তবরণ করে নিতে বাঙ্গালির খাদ্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী এ বসন্ত বরণের সাথে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন হ্যাভেনলি টাচ। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পিঠা উৎসবে ভিড় দর্শকদের ছিল।
আয়োজকরা বলছেন, যুগ যুগ ধরে গড়ে উঠা বাঙ্গালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসব নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রজন্মের কাছে অবদান রাখবে। পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থানের নতুন দাঁড় উন্মোচন হবে আয়োজকদের প্রত্যাশা। শীত এলেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর যে ঐতিহ্য রয়েছে তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এবং এ ধরণের আয়োজনে নারীদের উৎসাহিত করবে। তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবে ২০টি পিঠার অফলাইন-অনলাইন স্টলের মাধ্যমে তাদের দক্ষ কারিগরিতে ডিসপ্লে করছে। প্রচুর দর্শক ও ভোজন প্রিয় এ যুগের তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছে। মেলা প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে।
এসব স্টলে ছিল জামাই পিঠা, লিচু পিঠা, মালপোয়া, ঝিনুক পিঠা, সুন্দরী কমলা, ননিয়া পিঠা, তেল পিঠা, বিসকুট পিঠা, কদম পুলি, বোজড়া পিঠা, কাকড়া পিঠা, তানপড়া পুরি, শাহি ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, দুধপুলি, গাজর পিঠা, গোলাপ পিঠা, সবজি পিঠা, গাজর হালুয়া, গাজরের লাড্ডু, ভাজা কুলি, পঞ্চবাহার, সেমাই পিঠা, কস্তুরি পিঠা, রঙবাহার, জামদানি পিঠা, মিষ্টি বড়া, মিষ্টি পুলি, ভেজানো নকশি, নকশি দোপাটি, দুধ চিতই, ঝাল পুলি, গরুর মাংসের সমুচা, মুরগির মাংসের সমুচা, ছানার পুলি, পাটিসাপটা, নারিকেলের তিল পুলি, ক্ষীরে ভরা পাটিসাপটা, সুজির পোয়া পিঠা, নারিকেলের নাড়ু, নকশি পিঠা, কলা পিঠাসহ শতাধিক রকমের সুস্বাদু পিঠা সবার নজর কাড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এএম