নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নিলয় মোল্যা (১৭) নামে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নিলয়ের সঙ্গে থাকা তামিম নামে আরেক তরুণ আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলয় মোল্যা কালিয়া উপজেলার টোনা গ্রামের সুলতান আহমেদ ওরফে পিকু মোল্যার ছেলে। নিহত নিলয় স্থানীয় টোনা আলীম মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র ছিল বলে জানান মাদরাসার অধ্যক্ষ এস.এম ইকবাল সাইদী ।
খাশিয়াল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রেজ্জাক খন্দকার জানান,দুই সপ্তাহ আগে টোনা গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান। নিলয় মোল্যা এর প্রতিবাদ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাকিলকে চড় মারে নিলয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাতে মাহফিল থেকে ফেরার পথিমধ্যে নিলয় ও তামিমের গতিরোধ করে শাকিল ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন।এ সময় তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে নিলয় ও তামিমকে।আহতদের ডাক-চিৎকারে মাহফিলের লোকজন এসে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা: পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছিল।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিলয়ের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শনিবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএম