সুন্দরবনে অভায়রণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতেৃত্বে হামলায় দুই বনরক্ষীসহ বন কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেষ্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার পর তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিবে এ হামলার ঘটনায় বন বিভাগ শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (স্থগিত) আসাদ হাওলাদারসহ ছাত্রীগের পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় মামলা করেছে সুন্দরবন বিভাগের বগী ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম । পুলিশ শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে মো. জসিম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও ছাত্রলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনে শিকার নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার (২১মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২জন সন্ত্রাসী তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যপারে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারপিট করে আহত করার ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। এঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যে যতো বড় নেতাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
শরণখোলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আহত সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা এখন মোটামুটি সুস্থ্য আছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এ হামলার ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগের বগী ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮ জন জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল