যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে ১২ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত লাকি বেগম (৩৫) সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে। ১২ বছরের মেয়ে সামিয়া আক্তার মিমকে নিয়ে তিনি সাতমাইল বাজারে একটি ভাড়াবাসায় থাকতেন। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মেয়েকে নিয়ে রেল লাইনের পাশ দিয়ে লাকি বেগমকে হেঁটে যেতে দেখেছেন অনেকেই। এসময় ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসামাত্রই মেয়ের হাত ধরে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দেন লাকি বেগম। এতে দুজনের শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি প্যাকেটে অর্ধেক খাওয়া জন্মদিনের কেক, কোমল পানীয়, জন্মদিন পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও একটি ব্যাগ দেখতে পান।
ব্যাগে থাকা মোবাইল ফোন বের করে লাকি বেগমের স্বজনদের বিষয়টি জানান তারা। খবর পেয়ে লাকি বেগমের বোন ও বোনজামাই ঘটনাস্থলে যান। তারা বলেন, লাকি বেগমকে তার কন্যাসন্তানসহ প্রথম স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে বিয়ে করেন এজাজুল নামের এক ব্যক্তি। বছরখানেক আগে এজাজুলও তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। পরে এজাজুল আবারও বিয়ে করার আশ্বাস দিলেও করেনি। এসব নিয়ে অশান্তি আর অভাবের মধ্যেই দিন কাটছিল লাকির।
এদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারাও ধারণা করছেন, পারিবারিক অশান্তি, একাকীত্ব, অভাবের কারণেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম