২৬ মে, ২০২৪ ১৭:২৩

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ

আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার শহরে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বেড়েছে সমুদ্রের পানিও। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহরের নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় সমিতি পাড়ার নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে।

নাজিরারটেক বাসিন্না পাড়া থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব জয়নাল আবেদীন চারটি ছাগলসহ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। তিনি জানান, নাজিরারটেকে ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় ছাগলগুলোকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। এ ছাড়াও আরও মানুষজন আশ্রয়ের জন্য আসতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি ছাড়াও দুপুর ২টার দিকে পৌরপ্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে আরও কয়েকটি পরিবার। সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক ও বাসিন্না পাড়া থেকে চারটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পানি উঠে বাড়ি তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আশ্রয়কেন্দ্রে আসা আরফা বেগম জানান, দুপুর ১২টা থেকে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তবে দুপুর ২টা বেজে গেলেও তাদের জন্য এখনো কোনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ ছাড়াও সৈকতে ঘোড়া ভাড়া দিয়ে জীবিকা চালানো কয়েকজন ঘোড়া নিয়ে আশ্রয়ে নিয়েছেন। তাদের একজন মোহাম্মদ শুক্কুর জানিয়েছেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সমিতি পাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চারটি ঘোড়াসহ তারা আশ্রয়েকেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সিপিপির ৮ হাজার ৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০ সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮টি কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর