গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরাঞ্চলে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের মারধরে গুরুতর আহত ব্যক্তি এন্তাজ আলী (৫০) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মূল আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ সন্ন্যাসীর চর এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৪০) ও আল আমিন (৩৮)।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া। এরআগে সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় এন্তাজ আলীর মৃত্যু হয়। পরে সেদিন দিবাগত রাতে ফুলছড়ি থানায় মামলা দ্বায়ের করা হয়।
নিহত এন্তাজ আলী উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীর চর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ, মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের সন্ন্যাসীরচর এলাকার আব্দুল আজিজ ও একই এলাকার আব্দুস সাত্তার গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরধরে গত রবিবার রাতে এন্তাজ আলী ও তার স্ত্রী তারা বানু মেয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আব্দুস সাত্তার গং ওই এলাকার নাজমুল হুজুরের বাড়ির সামনে তাদেরকে একা পেয়ে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমন চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে এন্তাজ আলী ও তার স্ত্রী তারা বানু গুরুতর আহত হয়। তাদের আত্ম চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার বিকেলে এন্তাজ আলীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেদিন দিবাগত রাতেই নিহতের পিতা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, এ ঘটনায় মূল আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম