জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, “যেন সংঘাতকে আরও উৎসাহিত করার জন্য জাতিসংঘের কিছু সদস্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা হামাসের সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার জন্য অনেক বড় পুরস্কার হবে। এটি হবে ৭ অক্টোবরের ঘটনাসহ ভয়াবহ নৃশংসতাগুলোর জন্য হামাসের পুরস্কার।”
গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে একাধিক দেশের ঘোষণা ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আসা বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা সরাসরি এই ঘোষণা দেন।
এর মধ্যে সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি আরও বলেন, “দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা ধরে রাখতে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।”
একই বৈঠকে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো ও বেলজিয়ামও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়। এর আগে এই সপ্তাহে কানাডা, ব্রিটেন, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়াও একই ঘোষণা দিয়েছে।
এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাস্তবে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। কারণ ইসরায়েলের পর ফিলিস্তিন স্বীকৃতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে ভাষণে একের পর এক দেশ কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপকে “ভুল বার্তা” আখ্যা দেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, এমন পদক্ষেপ কেবল সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সূত্র: এনবিসি
বিডি প্রতিদিন/আশিক