ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে এবং এতে অনেক চাকরি হারানো অবশ্যম্ভাবী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা আসবে গ্রাহকসেবা খাতে। বর্তমানে ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেওয়া বিপুল সেবা শিগগিরই এআই আরও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করবে। এতে এ খাতের অনেক কর্মী চাকরি হারাবেন।
অল্টম্যান বলেন, গ্রাহকসেবার পর প্রোগ্রামাররাও এআইয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ইতিহাসে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৭৫ বছরে চাকরির ধরনে বড় পরিবর্তন ঘটে। তবে এবার পরিবর্তনটা অনেক দ্রুত ঘটবে। তার মতে, এটি হঠাৎ ভারসাম্য বদলের মতো হবে।
তবে এ পরিবর্তন মানে মানুষের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নয়। অল্টম্যানের ভাষায়, যেসব পেশায় মানুষের আবেগ, সহমর্মিতা ও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ দরকার, সেখানে এআই কখনোই বিকল্প হতে পারবে না। নার্সিংকে তিনি এর অন্যতম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
গ্রাহকসেবায় এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোও সক্রিয়। গত বছর ওরাকল ঘোষণা দেয়, তারা গ্রাহকসেবার পুরো কাজ স্বয়ংক্রিয় করতে চায়। সেলসফোর্স ইতিমধ্যেই চার হাজার গ্রাহকসেবাকর্মী কমিয়েছে। তবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে অর্ধেক প্রতিষ্ঠান আবারও কর্মী কমানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে।
অন্যদিকে, ওপেনএআই পরিচালনার নৈতিক ও সামাজিক দায় অল্টম্যানকে গভীরভাবে ভাবায়। তিনি বলেন, প্রতিদিন শতকোটি মানুষ তাদের তৈরি চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। এই বাস্তবতা তাকে প্রচণ্ড দায়িত্বশীল করে তোলে। বড় নৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি খুব একটা ভয় পান না, তবে ছোট ছোট সিদ্ধান্তই আসল উদ্বেগ তৈরি করে। কারণ এগুলো বাস্তব জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল